প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার সংক্রান্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনার মধ্যে ‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটিকে বিভ্রান্তিকর।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি একটি ব্যাখ্যা দেব, সেটি হচ্ছে বিটিআরসি একটি শব্দ ব্যবহার করেছে- ‘বাধ্যতামূলক’। এই শব্দটি ‘বিভ্রান্তিকর’। যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আপনি কোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, ইনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই। এটি বাধ্যতামূলক নয়।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় সেশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কার জন্য বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে? যিনি উৎপাদক অথবা আমদানিকারক, তিনি বাংলা লেখার সুবিধা তৈরি করে দেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার দিয়ে দেবেন। ব্যবহারকারী সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করবে কি করবে না, সেটি সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় ব্যবহার হচ্ছে। বলা হচ্ছে বিজয় তথ্য চুরি করে। এর প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।’
এর আগে বিটিআরসি থেকে এক নির্দেশনায় মোবাইল আমদানিকরক ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের হ্যান্ডসেট বাজারে ছাড়ার আগে বিজয় কিবোর্ডের অ্যান্ড্রয়েড কিট বা এপিকে ইনস্টল রাখার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। এই কিট বিটিআরসির কাছে থেকে সংগ্রহ করার কথাও বলা হয়। সেখানে শুধু বিজয় কিবোর্ডের কথা উল্লেখ থাকায় বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়।
টেলিটকের সেবা সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের একটি ব্যবসার জন্য অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়, কিন্তু সেখানে টেলিটকের বিনিয়োগ মাত্র চার হাজার কোটি টাকা। টাকা পাওয়া গেলে সেবা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।’
ফাইভ জি সম্প্রসারণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি যখন একনেকে উত্থাপন করা হয়, তখন বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কথা বলে আপাতত ফাইভ জি সম্প্রসারণ বন্ধ রাখতে বলা হয়।’
তবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ফাইভ-জি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে দেশের মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও তোলপাড় শুরু হয়।